ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার আগে এবং পরে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট-ন্যাটো। মস্কো-কিয়েভের সংঘাতে কেন বার বার ন্যাটোর নাম আসছে? এই সংঘাতের পেছনে জোটটির সংশ্লিষ্টতাই বা কী? তা নিয়ে বাড়ছে বিশ্ববাসীর কৌতুহল।
ন্যাটোতে যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইউক্রেন সীমান্তে দুই লাখ সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া। আর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সাঁড়াশি হামলা শুরু করে মস্কো।
এই সংকটের জন্য ন্যাটোকে দায়ী করেন পুতিন। তাঁর অভিযোগ, রাশিয়ার অস্তিত্বের হুমকি ন্যাটো।
শুরু থেকেই ন্যাটোর ওপর আস্থার ভাটা ছিল রাশিয়ার। কারণ তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়াই ছিল জোটটির মূল উদ্দেশ্য। ইউক্রেনে হামলা শুরু কিছুদিন আগেও ন্যাটোর সঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে রাশিয়া। মস্কোর অন্যতম চাওয়া সোভিয়েত ইউনিয়নে একসময় ছিল এমন কোনো দেশ বিশেষ করে ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে না।
পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর কোনো সামরিক উপস্থিতি থাকবে না বলেও দাবি মস্কোর। রাশিয়ার হুঁশিয়ারি তেমন আমলে নেয়নি ন্যাটো। এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থানও পুরোপুরি স্পষ্ট করেনি জোটটি। উল্টো মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে প্রভাব বাড়িয়েছে।
তারপর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, ন্যাটোতে যোগ দেওয়া শুধু তাদের আকাঙ্খা নয়, স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন। ফলে দেশটির ন্যাটোর সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। জোটটিতে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে আগেভাগেই ইউক্রেন আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুতিন, এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।